জগন্নাথপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩
- আপলোড সময় : ২৮-০৪-২০২৫ ০৪:০৮:২১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৮-০৪-২০২৫ ০৪:২৬:২৫ পূর্বাহ্ন

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :: জগন্নাথপুরে মাটিকাটা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের স্কুলছাত্রীসহ তার পরিবারের ৩ জনকে মারপিট করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামে। জানাগেছে, ২৫ এপ্রিল শুক্রবার উলুকান্দি গ্রামের জামাল মিয়া ও তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিজ বাড়ির পুকুর থেকে মাটিকেটে রাস্তায় ফেলেন। এ সময় একই গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ময়ূর মিয়ার লোকজন তাদের জায়গা দাবি করে মাটি কাটতে বাধা দেন। এ নিয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হলে জামাল মিয়ার স্কুলছাত্রী কন্যা মোবাইলফোন দিয়ে তা ধারণ করলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে মারপিট করে মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা কুশবা বেগম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ময়ূর মিয়া ও মাওলানা দবিরুল ইসলামসহ ৮ জনকে বিবাদী করে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারী কুশবা বেগম বলেন, ১৪ বছর আগে ময়ূর মিয়া ও দবিরুল ইসলামের কাছ থেকে এক কেদার জায়গা কিনে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছি। এর মধ্যে মাত্র ৭ শতক জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। গত প্রায় এক বছর আগে আমাদের বাড়ির দিকে কুনজর পড়ে যায় তাদের। এরপর তারা জায়গা বদল করে অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। তা প্রত্যাখ্যান করায় আমাদেরকে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। গত প্রায় ১১ মাস আগে সালিশ বৈঠকে আমাকে মারপিট করে আমাদেরকে সমাজচ্যুত করা হয়। এর মধ্যে গত শুক্রবার আমাদের বাড়ির পুকুর থেকে মাটিকেটে রাস্তায় ফেলার কাজ করছিলাম। হঠাৎ ময়ূর মিয়ার লোকজন এসে প্রথমে বাধা দেয় পরে আমাদের মারপিট করে আমার মেয়ের ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমানে তাদের ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। তাই ন্যায়বিচারের আশায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে ময়ূর মিয়া বলেন, গরীব অসহায় মানুষ জেনে আমি নিজে জায়গা দিয়ে ঘর বানিয়ে কুশবা বেগমকে থাকতে দিয়েছিলাম। এখন সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। সে গ্রামের কারো কথা শোনে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদেরকে পাচেরবাদ দেয়া হয়নি এবং মারপিটের ঘটনাও সত্য নয়। মাওলানা দবিরুল ইসলাম বলেন, আমি কোন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। তবুও আমাকে জড়িয়েছে ওই মহিলা। আমি তাদের কাছে কোন জায়গা জমি বিক্রি করিনি। তাদেরকে পাচেরবাদও করা হয়নি। তবে মাটিকাটাতে বাধা দেয়ার সময় ভিডিও করায় তার মেয়ের মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নজমুদ্দীন জানান, আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, দায়েরকৃত অভিযোগটি দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ